ঈদের বাকি মাত্র ১২দিন। ঈদ উপলক্ষে বিয়ানীবাজারের বিপনী বিতানগুলো সেজেছে বাহারি সাজে। বিপণী বিতানগুলো সাজানো হয়েছে নতুন নতুন ডিজাইনের বাহারি রঙয়ের বিভিন্ন ধরনের পোশাক দিয়ে। তবে মার্কেটে আশানুরূপ ক্রেতার দেখা মিলছে না। পৌরশহরের জামানপ্লাজা, আব্দুস সাত্তার শপিং কমপ্লেক্স, আজিরপ্লাজাসহ প্রায় সকল মার্কেটের বিপনী বিতানগুলোতে একই চিত্র। অবশ্য ২০ রমজানের পর থেকে ক্রেতা সমাগম বাড়বে বলে আশা করছেন বিক্রেতারা।

শুক্রবার বিকেলে জামানপ্লাজা, সাত্তার মার্কেটেসহ অন্যান্য মার্কেটগুলোতে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, প্রতিবারের মতে এবারো বিপনী বিতানগুলো সেজেছে নতুন সাজে। ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী সংগ্রহে রাখা হয়েছে নতুন ডিজাইনের বিভিন্ন ধরনের পোশাক। কিন্তু মার্কেটগুলো ক্রেতার সমাগম তেমন নেই। বেশিরভাগ বিপনী বিতানগুলোতে বিক্রেতাদের গল্প করেই সময় কাটাতে দেখা গেছে। স্বল্প সংখ্যক ক্রেতার দেখা মিললেও তাদের টুকিটাকি কেনাকাটা করতে দেখা যায়। তবে পোশাকের দোকানগুলোতে তেমন ভিড় না থাকলেও জুতা কসমেটিক্সের দোকানে কিছুটা ভিড় রয়েছে।

জুয়েল আহমদ নামে আরেক ক্রেতার দাবী কাপড়ের দাম একটু বেশি। তবুও দরদাম করে ভালোটাই কিনতে চান তিনি।

জামান প্লাজার আবরণী বস্ত্র বিতানের আবির হোসেন বলেন, টিকটক, ফণী, মনে রেখো, বার্বি ডল, পাবজিসহ নানা ডিজাইনের ড্রেস এ বছর কালেকশন করা হয়েছে। তবে এখনও প্রত্যাশিত বিক্রি শুরু হয়নি।

আব্দুস সাত্তার শপিং কমপ্লেক্সে চয়েজ সুজে’র স্বত্তাধিকারী জুবের আহমদ জানান, বিগত বছরগুলোতে ১৪/১৫ রমজান থেকে বেচাকেনার ধুম পড়লেও এবছরের চিত্র ভিন্ন। তবে মাসের মাঝামাঝি সময় হওয়াতে এমনটা হচ্ছে জানিয়ে তিনি আশা প্রকাশ করেন, ঈদের ৫/৬ দিন আগে থেকে বিক্রি বাড়বে।